নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৩ সালের পর থেকে সারাদেশের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও ভোলাবাসীদের জন্য সুখবর দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ভোলায় গ্যাস পাওয়ার পর থেকেই স্থানীদের দাবি এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণের লক্ষেই জেলার আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাপ পাঠাতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
জ্বালানি বিভাগের সাম্প্রতিক এক সমন্বয় সভায় জানানো হয়, ভোলায় গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভোলায় খুব অল্প গ্রাহক আছেন যারা এখনও আবাসিকে গ্যাস পায়নি। ভোলার গ্যাস তো জাতীয় গ্রীডে এখনও আমরা আনতে পারিনি। তাই বিশেষ বিবেচনায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে সবটুকুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। সুন্দরবন কোম্পানির কাছ থেকে একটা প্রস্তাব এসেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো। তিনি অনুমতি দিলে সংযোগ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির অধীনে ভোলায় প্রায় ২ হাজার ৩৫০ জন গ্রাহক পাইপলাইনে গ্যাস পাচ্ছে। রয়েছে ৬ হাজার ৫১১ টি ডাবল বার্নার। নতুন করে গ্যাস সংযোগ নিতে এই মুহুর্তে ১ হাজার ৭০০ আবেদন জমা আছে। আর অনুমোদন পেলে আরও আবেদন জমা পড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভোলার গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখন তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৫টি শিল্প কারখানা এবং দুইটি ক্যাপটিভে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এর বাইরে ভোলায় আর কোনও গ্যাস নেই। ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস দিয়ে দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলোয় শিল্পায়নের চিন্তা করা হয়। এজন্য ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত একটি পাইপ লাইন নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে খুব একটা অগ্রগতি নেই। বলা হচ্ছে ভোলা পর্যন্ত বিদ্যুতের গ্রিড লাইন রয়েছে। সেখান বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে দেশের অন্য জায়গাতে সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব এতেও গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব।
সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলো সালাহউদ্দিন বলেন, ভোলায় এখন আমরা শিল্পে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছি। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিক ও বাণিজ্যিকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে পাঠিয়েছি। এখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুমোদন পেলে আমরা সংযোগ দেওয়া শুরু করবো।